নরসিংদীতে জেলখানার মোড়ে প্রকাশ্যে পরিবহন ক্ষেত্রে চলছে চাঁদাবাজি

নরসিংদীতে জেলখানার মোড়ে প্রকাশ্যে পরিবহন ক্ষেত্রে চলছে চাঁদাবাজি

সাইফুল ইসলাম রুদ্র, নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি:

নরসিংদী জেলাখানার মোড় এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চাঁদাবাজ সায়েমের নেতৃত্বে পরিবহন ক্ষেত্রে অধিক হারে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জেলখানার মোড় এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চাঁদাবাজরা ছোট বড় যানবাহন দাঁড় করিয়ে অধিক হারে চাঁদা নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে বিপদে পড়েছে দূরপাল্লার কোচ ও আন্ত জেলার বাসচালকরা। জেল গেইটের সামনে গাড়ি থামিয়ে তাদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়া হচ্ছে।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে আজ ২৪ শে ফেব্রæয়ারী রোজ বৃহস্পতিবার সংবাদকর্মী সাইফুল ইসলাম রুদ্র জেলখানার মোড় এলাকায় অবস্থান করলে হঠাৎই ক্যামেড়া স্পষ্ট ধরা পড়ে এই চাঁদা নেওয়ার দৃশ্য। এক পর্যায়ে পরিবহন চালক আসাদ মিয়ার নিকট এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে জিপি ও অবৈধ চাঁদার টাকা না দিলে গাড়ী দাঁড় করিয়ে আমাদেরকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। তাই বাধ্য হয়ে আমাদেরকে প্রতি গাড়ী বাবদ ৫০ টাকা করে দিতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে জেলখানার মোড়ে দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশ সদস্য সার্জেন্ট সালা উদ্দিনকে সংবাদকর্মী সাইফুল ইসলাম রুদ্র ভিডিও ফুটেজ দেখালে, সার্জেন্ট পুলিশ সদস্যরা জেলখানার মোড়ের ২ চাঁদাবাজকে পুলিশ বক্সে ডেকে এনে সতর্ক করে দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে ২ চাঁদাবাজ সার্জেন্ট সালা উদ্দিনের নিকট স্বীকার করেন যে, চাঁদাবাজ সায়েমের নেতৃত্বে ৫০ টাকা করে তারা প্রতি গাড়ী বাবদ উঠাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই চাঁদাবাজির চক্রটি বহুদিন যাবৎ নরসিংদী জেলখানার মোড় এলাকায় অবস্থান করে অবৈধ উপায়ে প্রতিনিয়ত চাঁদা উত্তোলন করছে। এ চক্রের কাছে যানবাহন মালিক-চালকসহ সংশ্লিষ্ট সবাই এক রকম জিম্মি হয়ে পড়েছে। এতদিন পরিবহন সেক্টরে গাড়ি মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নামে সিংহভাগ চাঁদাবাজি হলেও এখন নরসিংদী জেলখানার মোড়ের সায়মই চাঁদাবাজির এক আতঙ্কের নাম বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে সায়েমের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। এই সায়েমের ও চাঁদাবাজদের বিষয়ে আরো ৭ পর্বে বেরিয়ে আসবে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এ বিষয় নরসিংদী সদর সার্কেলের নিকট মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে পরিবহন নেতারা বলেন, আমাদের জানামতে, নরসিংদী জেলায় পরিবহন ক্ষেত্রে চাঁদাবাজি এখন বন্ধ। কিন্তু এই চিহ্নিত সায়েম কীভাবে চাঁদাবাজি করছে এর সঠিক তদন্ত করে আমরা ব্যবস্থা নিব।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন